একান্ত পারিবারিক নিভৃত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর ব্রিটেনের রানির মরদেহ স্বামী ও অন্যান্য রাজন্যের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ শোক. শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা পর্বের মধ্য দিয়ে চোখের সামনে থেকে চিরদিনের মত অন্তরালে গেলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ঠাঁই পেলেন ইতিহাসের পাতায়। এর আগে আনুষ্ঠানিকতায় ভরপুর অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার পর ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন উইন্ডসর ক্যাসেল প্রাঙ্গনের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের রাজকীয় ‘ভল্টে’ নামানো হয়।

বিবিসি জানায়, রানির কফিন সমাহিত করার সময় বাদকেরা বিলাপ সংগীত বাজিয়ে শোনান। পরে চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবুরি জাস্টিন ওয়েলবি রানির জন্য আশীর্বাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি তার প্রার্থনায় বলেন, পৃথিবীতে শান্তিতে বসবাস করো; সাহসী হও, যা ভালো তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখো, মন্দের বদলে কারও মন্দ করো না, দুর্বল হৃদয়কে শক্তিশালী করো, দুর্বলদের সমর্থন করো, দুঃখীকে সাহায্য করো, সকল মানুষকে সম্মান করো, ভালোবাসা এবং প্রভুর সেবা করো, পবিত্র আত্মার শক্তিতে নিজেকে বলীয়ান করো।

আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবুরি আরও বলেন, ‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আশীর্বাদ, পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা আপনার মধ্যে থাকুক এবং সর্বদা আপনার সঙ্গে থাকুক। চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধানের আশীর্বাদ শেষ হওয়ার পর দেশটির জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।

এনডিটিভি জানায়, ১১ দিনব্যাপী এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া স্থানীয় সময় সোমবার শেষ হয়েছে। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের সম্রাট নারুহিতো এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২ হাজারেরও বেশি অতিথি যোগ দেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিভিশনে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উল্লিখিত দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, ভারত, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধি দল যোগ দিয়েছিল।

রাকিব/এখন সময়